ঢাকা- ভোলার ঘটনায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে যোহরের নামাজ আদায়ের পর পরই বায়তুল মোকাররমের সীমানার ভেতর (উত্তর গেট) তারা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। এসময় দৈনিক বাংলা মোড় থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত যানচলাচল বন্ধ থাকে।

এসময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মুসুল্লিরাও অংশ নেন। স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পল্টন এলাকা। সমাবেশে উপস্থিত আছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীসহ শীর্ষ নেতারা।

সমাবেশে তারা মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে কটূক্তিকারী ও ভোলার সংঘর্ষের বিষয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- আল্লাহ তা’আলা ও মহানবী (সা.)-এর কটূক্তিকারীকে গ্রেফতার, ভোলার ঘটনায় নিহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার ও সুচিকিৎসা গ্রহণ করা, গুলি বর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ, গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহার করা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “সংশ্লিষ্ট এলাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত রোববার ভোলার বোরহানউদ্দিনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের বিচারের দাবিতে ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। নিহত চারজনকে নিজেদের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করে তৌহিদি জনতা। সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।